মঞ্জুর:মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতি ১লা জানুয়ারী ২০২৫, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ৩য় তলায় ফ্যাসিবাদী পতিত স্বৈরশাসক হাসিনা সরকার তার মন্ত্রী, এমপি, আমলা ও তাদের সহযোগী কুখ্যাত অমুক্তিযোদ্ধা মোর্শেদুল আলম ও তার সহযোগীদের নির্যাতনে দুই জন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নইম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বেলায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ সাত্তার, মোঃ গোলাম কাদের প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মোঃ নইম জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ১৯৯৭ইং সালে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতি সমাজ সেবা অধিদপ্তর হইতে নিবন্ধন গ্রহন করে। যাহার রেজি: নং-ঢ-০৩৮১/৯৭ইং এবং নিবন্ধনকালীন সদস্য সংখ্যা মাত্র ৪৯ জন। ১. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বেলায়েত হোসেন ও মোঃ নইম জাহাঙ্গীর, সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মহোদ্বয়ের নিকট সঠিক তদন্তের আবেদন করিলে ২০০২ইং সালে পরিচালক কার্যক্রম এএফএম সাইফুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। উক্ত তদন্তের রেজিষ্ট্রি খাতায় ফুইট কার্যকরী পরিষদের নামের পরিবর্তনসহ বিভিন্ন অনিয়ম তদন্তে বের হয়ে আসে। ২. ডিজি সমাজসেবা, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ০৬/০৫/২০০২ইং ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) কে আহ্বায়ক করে ০৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে । ৩. ২০/০৫/২০০২ইং আহ্বায়ক কমিটি একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সমিতির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও অফিস একটি সিজার লিষ্টের মাধ্যমে বুঝিয়ে নেন এবং কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। যাহার নং-১১৭২, তারিখ: ২০/০৫/২০০২ইং। ৪. অমুক্তিযোদ্ধা মোর্শেদুল আলম, জন্ম তাং-২৮/০৩/১৯৬৬ইং। মহামান্য হাইকোর্টে সরকারের বিরুদ্ধে একটি রিট মামলা করেন । যাহার নং-২৫৯০/০২ইং। ৫. বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর মন্ত্রী, এমপি, সচিব, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত আইজিপি,ডিআইজিসহ ৭০ জনের উপরে এই প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ ক্ষমতা বিস্তার করে। সমিতির নামে বরাদ্দকৃত সম্পত্তির হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট শুরু করে এবং প্রতিবাদ করিলে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। কিন্তু সমাজসেবার কিছু সৎ কর্মকর্তার কারণে তাদের অবৈধ কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ হয়। ইহার ফলে তারা মরিয়া হয়ে মহামান্য হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে ২টি রিট পিটিশন দাখিল করে। যাহার নং-সি.পি- ১৭৯৩/১১, সি.পি.-২০৭৫/১১। ২৩/০৭/২০১৪ইং রায়ে বলা হয় যে, ০৬/০৫/২০০২ইং তারিখে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির অনেকে বর্তমানে কার্যক্রমে না থাকায় নতুন প্রশাসক নিয়োগ অথবা ০৫ ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি গঠন করে সমিতির ৪৯ জন সদস্যের মধ্যে হইতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁছাই করে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে নির্বাচন গ্রহন করবে। যাহার মেয়াদকাল হবে ০৬ মাস । ৬। আবু তাহের, উপ-পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, ঢাকা। যার স্মারক নং-১২৯৭/১০, তারিখ: ০৩/০৬/২০১০ইং সমিতির প্রকৃত সদস্যদের তালিকা সত্যায়িত করে প্রদান করেন। তিনি আরোও উল্লেখ করেন যে, সমিতির তালিকাভূক্ত সদস্য বাতিলকরণ ও নতুন সদস্য ভর্তিকরণ সংক্রান্ত কোন রেকর্ডপত্র অত্র কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি । ৭. বিগত স্বৈরাচার সরকারের দোসররা কথিত শেখ হাসিনার আত্মীয় আরও এক স্বৈরাচার, অর্থলোভী সাবেক স্বৈরাচারের সচিব আবু আলম শহীদ খান কে প্রশাসক নিয়োগ করে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উক্ত স্বৈরাচারের অর্থলোভী ব্যক্তি নিজের নামে ১৩৮৫নং দলিলে মুক্তিযোদ্ধার ২টি ফ্ল্যাট নিয়ে তার সঙ্গী সাথীদের সহায়তা করার জন্য একটি পত্রিকায় ১ দিন আগে সাধারণ সভার আহ্বান করেন, অফিসার্স ক্লাব, বেইলী রোডে। সাধারণ সভার আগে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে হইতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই না করে অর্থলোভী আবু আলম শহীদ খান, প্রচুর অর্থ- সম্পদের বিনিময়ে একটি কার্যকরী কমিটি জমা দেয়। যার ১৫ জনের ভিতরে অমুক্তিযোদ্ধা মোর্শেদুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। যার যুদ্ধকালীন বয়স ২৮/৩/১৯৬৬ইং । বাকীরা এই সমিতির সদস্য নয়। ৮। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়,ঢাকা ১০/০১/২০২১ইং তৎকালীন সমাজকল্যাণ সচিবের নির্দেশে উক্ত কমিটি শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দিতে বাধ্য হয় । উক্ত সচিব অনুমোদনপত্রে উল্লেখ করেন যে, এই কমিটির বিপক্ষে লিখিত অভিযোগ আসলে তা বাতিল বলিয়া গন্য হবে। ৯. স্বৈরাচারের দোসর প্রাক্তন সচিব,আবু আলম শহীদ খানকে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক নির্বাচন করা জন্য অনুরোধ করি। সর্বোপরি তাকে ২৩/০৯/২০১৪ইং তারিখে সমস্ত ঘটনা উল্লেখ করে একটি পত্র দেয়। এতকিছুর পরেও ০৩ (তিন) কোটি নগদ টাকা ও সম্পত্তির লোভ সামলাইতে পারে নাই । ১০. উপরোল্লিখিত ঘটনাবলীর আলোকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক সৎ, বিজ্ঞ কর্মকর্তা নিয়োগ ও সমস্ত অবৈধ কার্যক্রম বাতিলের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন সম্পন্ন করতে মহোদ্বয়ের মর্জি হয় এবং উপ-পরিচালক, সমাজসেবা, ঢাকা জেলাকে অবগতির জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো । এখানে আরও উল্লেখ যে,২০০২ইং সালের ০৫ সদস্য বিশিষ্ট তত্বাবধায়ক বড়ি অন্তবর্তীকালীন সময়ের বৈধ কমিটি ।
টিক্যাবের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন
মঞ্জুর: টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)-এর ৫ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ও নবগঠিত উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয়