Somoy News BD

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , রবিবার
ব্রেকিং নিউজ

দুই হাজার বছর পূর্বের নিদর্শন পাওয়ার দাবী গবেষকদের

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীনের নেতৃত্বে এক দল গবেষক বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চাপাইনবাবগঞ্জের  গোমোস্তাপুর উপজেলার প্রশাসনিককেন্দ্র রোহানপুরে পাওয়া বিভিন্ন প্রত্ন সামগ্রী উপর ভিত্তি করে আদি ঐতিহাসিক সময়ের বরেন্দ্রভূমির প্রবেশদ্বার হিসেবে শনাক্ত করেছেন বলে দাবি করেন। আজ শনিবার (১১ই মে) গবেষণালব্ধ ফলাফল রাজধানীর এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করেন তাঁরা।

এই গবেষণা দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চারজন শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান খান, সহকারী অধ্যাপক মো. নিয়ামুল হুদা, সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজোয়ানা, সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং শান্ত-মরিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহানা নাজনীন ও রোহনপুর গ্রামের ঐতিহ্য সংগ্রাহক মাহির ইয়াসির।

গবেষণার সাক্ষ্য স্বরুপ এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনের পাশে প্রত্ন স্থল থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন হাজার বছরের পুরোনো ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রা, ছাঁচে ঢালা তাম্রমুদ্রা, উত্তরাঞ্চলীয় কালো চকচকে মসৃণ মৃৎপাত্র, স্বল্প মূল্যবান পাথরের পুঁতি, ধাতব নিদর্শন, মাটি ও পাথরের মূর্তি, নানা আকৃতির পাথরের বাটখারাসহ প্রাচীন নানা প্রত্ন বস্তু প্রদর্শন করা হয়।মূলত এসব প্রত্নসামগ্রীর বেশির ভাগ পাওয়া গেছে মুদ্রা ও প্রত্নবস্তু সংগ্রাহক মাহির ইয়াসিরের সংগ্রহশালা থেকে।

গবেষকদলের দাবী রোহনপুর অঞ্চলে প্রত্নঅনুসন্ধানে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রত্নবস্তু ও এ অঞ্চলের বাস্তুবস্তু বিশ্লেষণ, বসতি বিন্যাস বিশ্লেষণ, স্থাপত্য বিদ্যার ‘টেকসই অঞ্চল পরিকল্পনার’ আলোকে স্থানিক বিশ্লেষণ, অতীত পানি ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ, এর উপরিভাগের ভূ-ত্বক, মাটির ধরণ, বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পানির উৎস পর্যবেক্ষণ, ১৯৬০ এর দশকের স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষক দল এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বলে দাবি করেন।

এ ব্যাপারে গবেষণা দলের প্রধান মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘ এই গবেষণায় সকল সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা রহনপুরের এলাকায় দুই থেকে আড়াই হাজার বছর আগে আদি ঐতিহাসিক কালপর্বে অর্থাৎ খ্রিষ্টপূর্ব সময়ের বিভিন্ন স্বল্প মূল্যবান পাথরের পুঁতি, ধাতব নিদর্শন, মাটি ও পাথরের মূর্তি, নানা আকৃতির পাথরের বাটখারাসহ প্রাচীন নানা প্রত্ন বস্তুর উপর ভিত্তি করে বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল বলে আমরা বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েছি। ভবিষ্যতে রোহনপুরে পরিকল্পিত খনন চালালে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পাওয়া যাবে বলে আমরা মনে করছি।’

বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক এবং গবেষক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, স্থানীয় একজন শিক্ষক সেখানে সম্প্রতি বেলে লাল পাথরের একটি মূর্তি খুঁজে পেয়েছেন, যা খ্রিষ্টপূর্ব সময়ের। আজ গবেষণালব্ধ ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বলা যায় রোহনপুর দুই থেকে আড়াই হাজার বছরের পুরোনো। তাই রোহনপুরে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে প্রত্ন নিদর্শনগুলো দ্রুতই সংরক্ষণ করতে হবে।’

Related Articles

সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষ মানুষের গোলামী থেকে মুক্ত হবে-আমীর, ইসলামী সমাজ

মঞ্জুর: ‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে বন্দি হয়ে বিশ্বের মানুষ মানুষের গোলামে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক শাসন

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের পাঁচ দাবি

মঞ্জুর: অবৈধ পদোন্নতি বাতিলসহ পাঁচ দাবি জানিয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তারা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনি হলে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি

আরও পড়ুন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং শুক্রবার দেশের জাতীয় দৈনিক কালবেলায় “তিন বাহিনীর দখলবাজিতে অশান্ত আশুলিয়া ডিইপিজেড “এই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন  আশুলিয়া থানা

আরও পড়ুন

আশুলিয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেনের ঘুষ নেওয়ার গোপন তথ্য ফাঁস, করল এক কনস্টেবল

হৃদয় শিকদার: আশুলিয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, থানার এক কনস্টেবল সাক্ষী দিয়েছেন  যে, এসআই

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও