Somoy News BD

ব্রেকিং নিউজ

“একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের ব্যাপক ব্যবহার বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ঝুঁকি”

মঞ্জুর:এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো তার প্রধান কার্যালয়ে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ “একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের পরিবেশগত প্রভাব: দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি” শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক (SUP) বোতলের ভয়াবহ পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বাস্তবচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৩.১৫ থেকে ৩.৮৪ বিলিয়ন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে মাত্র ২১.৪% রিসাইকেল করা হয়। বাকি ৭৮.৬% প্লাস্টিক বোতল নদী, সমুদ্র এবং ডাম্পিং স্টেশনে জমা হয়। এই একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল ৪৫০ বছর পর্যন্ত পরিবেশে টিকে থাকে, যা পরবর্তিতে পরিবেশ ও আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও বিষাক্ত রাসায়নিক ছড়ায়।গবেষণায় প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য তথ্যসমুহঃদেশের প্রায় ৮৩.৬% মানুষ প্রতিনিয়ত একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করেন। শহরে পানির বোতল এবং গ্রামে কোমল পানীয়ের বোতল বেশি ব্যবহৃত হয়। ভোক্তাদের মধ্যে শহরে মাত্র ১৮.৪% এবং গ্রামে মাত্র ৫.৫% মানুষ এই একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন। প্রায় ৫১% শহরের ভোক্তা এবং ৪২% গ্রামীণ ভোক্তা এই প্লাস্টিক বোতলগুলো মাত্র একবার ব্যবহারের পর ফেলে দেয়। এবং বাকি অধিকাংশ ভোক্তা একাধিকবার ব্যবহারের পর তা ফেলে দেয়। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বর্জ্য সংগ্রহকারীদের মধ্যে মাত্র ৩.৪% একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে সচেতন। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল থেকে নির্গত রাসায়নিক, যেমন বিসফেনল এ (BPA), গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি যেমন, শরীরের হরমোন সিস্টেমে বিঘ্ন এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের সম্ভাবনা তৈরি করে।  বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এবং এসডো’র চেয়ারপার্সন, সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, প্লাস্টিক বোতলের প্রভাব, পরিবেশ দূষন ও আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “প্লাস্টিক দূষণ, বিশেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্য বোতল থেকে সৃষ্ট দূষণ আমাদের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক চ্যালেঞ্জ। প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাস, পুনর্ব্যবহারযোগ্য ব্যবস্থা উন্নত করা এবং আমাদের প্রতিবেশতন্ত্র রক্ষার জন্য সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।” জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং এসডো’র সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার, প্রফেসর ড. মো. আবুল হাশেম, প্লাস্টিক এর ক্ষতিকর প্রভাবের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের পরিবেশগত এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি উপেক্ষা করা যায় না। বিসফেনল এ (BPA) এবং মাইক্রোপ্লাস্টিকের মতো রাসায়নিক আমাদের খাদ্যচক্রে প্রবেশ করছে, যা মানবস্বাস্থ্য এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।”এসডো’র মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন,“বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় নীতিনির্ধারক, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন, যাতে টেকসই বিকল্প এবং দায়িত্বশীল ভোক্তা আচরণকে উৎসাহিত করা যায়।” এসডো’র নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা বলেন,“একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের সংকট মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আমরা প্রতিটি স্তরে পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহিত করতে চাই, যাতে পরিবেশবান্ধব সমাধান গ্রহণ, বর্জ্য সংগ্রহকারীদের সহায়তা এবং পরিবেশ ও স্বাস্থ্য রক্ষায় কঠোর নীতি প্রয়োগ করা যায়।” একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের প্রভাব হ্রাসের জন্য প্রতিবেদনে উপস্থাপিত সুপারিশ:পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং সাশ্রয়ী বিকল্প ব্যবহার করা। পুনর্ব্যবহারযোগ্য বোতলেরর ব্যবহা্রকে উৎসাহিত করা। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকবোতলের উৎপাদন ও ব্যবহার কমানো। একটি পূর্ণাঙ্গ নীতি ও নিয়ন্ত্রক নির্দেশিকা প্রণয়ন করা। বিকল্প সমাধান প্রচার করা এবং উৎপাদন করা। পরিবেশ সম্মত রিসাইকেল নিশ্চিত করা। ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান পুনর্ব্যবহার এবং বিপজ্জনক প্লাস্টিক বর্জ্য বাণিজ্য নিষিদ্ধ করা। এসডো এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ মোকাবিলায় সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এই প্রতিবেদনটিতে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের পুরো জীবনচক্র নিয়ে গবেষণা করে, এসডো বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।

Related Articles

চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কৃষি, গবেষণা ও বাণিজ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সফররত চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও রবিবার বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি কৃষি, পাট, সামুদ্রিক মৎস্য ও গবেষণা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চীন

আরও পড়ুন

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের তিন সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকায় ডেলটা হাসপাতালের সম্মুখে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির শ্যামপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো-

আরও পড়ুন

কোতয়ালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান; মাদক কারবারিসহ গ্রেফতার ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর কোতয়ালী থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কোতয়ালী থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন

তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নবীন কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে : তথ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নবীন কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। এর পাশাপাশি গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman