Somoy News BD

৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , বৃহস্পতিবার
ব্রেকিং নিউজ

মানববন্ধন আসতে বাধার মুখে কুবি শিক্ষকরা, শেষে দাঁড়ালো ৬ জন

কুবি প্রতিনিধি:

দেশব্যাপী শিক্ষার্থী হত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানববন্ধনে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে আসতে চাইলে সরকার দলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত স্থানীয় লোকজন বাঁধা দেন। ফলে ছয় জন শিক্ষকই দাঁড়াতে পেরেছেন এই মানববন্ধনে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ১১ টা ৫৬ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছয় জন শিক্ষক হলেন- বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শিলা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীমা নাসরিন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষক জয় রাজ বংশী, বাংলা বিভাগের প্রভাষক গোলাম মাহমুদ পাভেল।

মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীমা নাসরিন বলেন,  আমরা আজকে সবাই এখানে দাড়িয়েছি একটা বিচারহীন রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য। শুধুমাত্র নিজের মৌলিক অধিকার চাইতে গিয়ে যেভাবে শতশত শিক্ষার্থী, সাধারণ জনগণ সেখানে শিশু, কিশোর, তরুণ, যুবক তাদেরকে মেরে ফেলা হয়েছে সেটা গণহত্যা। এই গণহত্যার মধ্যে দিয়ে যা করা হয়েছে সেটি একবারে নিজের যে ক্ষমতা সেটির চর্চা। যেটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এই নির্মম  গণহত্যার বিচার চাই এবং তীব্র প্রতিবাদ করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন আমি কার কাছে বিচার চাচ্ছি।  আমি রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে বিচার চাই না। কারণ এই যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এটার সাথে রাষ্ট্র প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছে। আমি বিচারিকের কাছেও বিচার চাইতে যাবো না। আমি বিচার চাই আমার দেশের সাধারণ জনগণের কাছে, তারা দেখেছেন, তারা দেখছেন, দেখবেন এবং অবশ্যই তারা  এর বিচার করবেন। কারণ আমরা জানি, জনগণের বাণীই ইশ্বরের বাণী এবং আপনি যদি ক্ষমতাকে ইশ্বর মনে করে থাকেন তাহলে সেটা হবে  চরম ভুল, যা এখন হচ্ছে তা সামনেও হবে। এই অরাজকতা, এই বিচারবিহীন রাজনীতি এবং হত্যাযজ্ঞের বিপরীতে আমাদের দাড়াতে হবে হয়ত আমাদের ক্ষতি হতে পারে কিন্তু যা হবার হয়ে গেছে। আমরা সকলে দাড়াবো একে একে দাড়াবো, দুইয়ে দুইয়ে দাড়াবো, দশে দশে দাড়াবো।

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গত ১৮ জুলাই কোটবাড়ী বিশ্বরোডে পুলিশের গুলিতে আহত হওয়া তার সন্তান সারাফ সামির জামান মেঘের মা ড. কামরুন নাহার শিলা  বলেন, ‘ আমার সন্তানও আহত হয়েছে আমি সেই কারনে আসিনি। শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের উপর যে নিপীড়ন শিক্ষার্থীদের হত্যা এই বিষয়ে সকল শিক্ষকদের মত আমিও মর্মাহত ছিলাম। আমাদের আরো আগেই নামা উচিত ছিলো। আমরা আসলে লজ্জিত। আমার নিজের জীবনে যেহেতু একটা দুর্বিপাক ঘটে গেছে এর কারনে আমি আগে পদক্ষেপ নিতে পারিনি। আমার ছেলে আহত হয়েছে। আমার ছেলে মারাও যেতে পারতো। সেদিন বুঝতে পেরেছি এতো এতো শিক্ষার্থীদের পরিবার কি মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে আছে! আমার ছেলে ছোট তাকে টার্গেট করে গুলি করা হয়েছে। আমরা দেখেছি নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর কীভাবে টার্গেট করে গুলি করা হয়েছে। এই যে একটা নৈরাজ্য অবস্থা তৈরী হয়েছে তার দ্রুত নিরসন চাই আমরা।’

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রবেশে আটকে দেয়ার ব্যাপারে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হল ভূঁইয়া বলেন, ‘কর্মসূচিটি সকাল ১১ টায় করার কথা থাকলেও আমরা করতে পারিনি। আমাদের অনেক সহকর্মীকে আটকে দেওয়া হয়েছে কোটবাড়ি। তারা শিক্ষক পরিচয় দিয়েও তাদের কর্মস্থলে আসতে পারেননি। প্রক্টরকে জানানো হলেও আসতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না? তারা কারা? তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের ক্যাম্পাসে কেন আসতে পারবেন না? আমরা কোন ব্যবস্থার মধ্যে বাস করছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না? আমি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, যে প্রতিষ্ঠানের সাথে আমার দায়িত্ব জড়িত, আমার কাজ জড়িত, আমার ইমোশন জড়িত, আমার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে। আমরা কেন আসতে পারবো না?’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  পলিটেকনিক মোড়, ক্যাডেট কলেজ মোড় ও আনসার ক্যাম্পের সামনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সব ধরনের যানবাহন চেক করছেন। যারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিমুখে  যেতে চাইছেন তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র, শটগান সহ নানা অস্ত্র দেখা যায়। ছাত্রলীগ, যুবলীগের বাধার মুখে পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলেন- গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, অধ্যাপক খলিফা মোহাম্মদ হেলাল, আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান।

আনসার ক্যাম্পের মোড়ে সদর  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.আমিনুল ইসলাম টুটুল নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছেন।  ক্যাডেট কলেজ মোড়ে গিয়ে দেখা যায় সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান  আহমেদ নিয়াজ পাবেল নেতাকর্মীদের দাঁড়িয়ে আছেন। মুঠোফোনে আহমেদ নিয়াজ পাবেল জানান, ‘কোন শিক্ষককে তাঁরা  ফিরিয়ে দেননি। জামায়াত-বিএনপি যেন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য তাঁরা মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমরা কোটবাড়িতে আসার পর কয়েকজন মানুষ আমাদের পথরোধ করে। আমরা শিক্ষক পরিচয় দিলেও নমনীয় হয়নি। আমাদেরকে শহরের দিকে চলে যেতে বলে’
আমাদের চলে যেতে বলার তারা কারা বা কোন পরিচয়ে তারা এই কথা বলছেন জিগ্যেস করলে তারা কোন পরিচয় দেয়নি। আমরা প্রক্টরকে জানিয়েছি, রেজিস্টারকে জানিয়েছি। দীর্ঘ এক ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোন পুলিশ বা কারো থেকে কোন সাহায্য আসেনি। আমাদেরকে বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে।

কুমিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন,  ‘একজন শিক্ষক জানিয়েছিলেন যে উনি আসতে পারছিলেন না। সাথে সাথে আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি। প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্ব ক্যাম্পাসের ভিতরে। বাইরে যদি কোন ঘটনা ঘটে সেটার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে হয়। সেটা আমরা করেছি।’

সদর দক্ষিন থানার অফিসার্স ইনচার্জ আলমগীর ভূইয়া বলেন, সরকার দলীয় লোকেরা শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আসতা বাধা দিচ্ছে এই ব্যাপারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। আমি একটু আগে ঘুরে আসলাম এমন কিছু লক্ষ্য করি নাই’

Related Articles

সাইটিস অনুযায়ী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কনভেনশন, সাইটিস, অনুযায়ী বন্যপ্রাণী

আরও পড়ুন

২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এবছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ হজ প্যাকেজ নামে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে । সাধারণ

আরও পড়ুন

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সাথে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ (বুধবার) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া-এঁর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত

আরও পড়ুন

সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠায়  মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনে ইসলামী সমাজের ৩ দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা সু-সম্পন্ন

মঞ্জুর: ইসলামী সমাজের উদ্যোগে- ২৭, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর (রবি, সোম ও মঙ্গলবার), গাজীপুর মুক্তমঞ্চ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গণজাগরণ যাত্রা চলাকালীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে সংক্ষিপ্ত পথসভায় ইসলামী সমাজের সম্মানিত আমীর এবং বিভাগীয় দায়িত্বশীলগণ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশে মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে সার্বভৌমত্বের মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও শাসনকর্তা গ্রহণ করে মানুষ আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরকে লিপ্ত হয়ে আছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল মতবাদ দুর্নীতি, বৈষম্য ও জাহান্নামের পথ। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র গ্রহণ করে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্বআইন-বিধান ও কর্তৃত্ব অমান্য করে তাঁর সাথে কুফর করছে এবং নিজেদেরকে সার্বভৌমত্বের মালিক, সংসদ সদস্যদেরকে আইনদাতা ও সরকার তথা মন্ত্রীদেরকে শাসনকর্তা মেনে মহান রব্ব আল্লাহর সাথে শিরক করছে। আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরক করা চরম অপরাধ ও দুর্নীতি, যার পরিণতি দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন রকম আযাব-গজবের শিকার হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তি এবং আখিরাতের জীবনে নিশ্চিত ঠিকানা জাহান্নাম। মানব রচিত সকল মতবাদ চরম দুর্নীতি এবং কুফরী ও শিরকী ব্যবস্থা-জাহান্নামের পথ। মানুষের মাঝে বৈষম্যের মূল কারণ হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি গ্রহণ করার কারণেই মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং সংরক্ষণ হচ্ছে না।সুতরাং গণতন্ত্রসহ কোন মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। গতকাল ২৯ অক্টোবর ২০২৪ইং, মঙ্গলবার, বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে প্রয়োজন নীতি ও আদর্শ। গণতন্ত্রসহ মানব রচিত কোন ব্যবস্থাই নীতি ও আদর্শ নয়; সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ই একমাত্র নীতি ও আদর্শ। তিনি বলেন, সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর রাসূল হযরতমুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলেই “দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন হবে, সকলের সকল অধিকার আদায় এবং সংরক্ষণ হবে। এ লক্ষ্যে ‘ইসলামী সমাজ’ গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাগণ এবং দেশবাসী ছাত্র-জনতা সকলকে তিনি গণতন্ত্র ত্যাগ করে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানান। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় দায়িত্বশীল- মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, মুহাম্মাদ ইয়াছিন, সোলায়মান কবীর, আমীর হোসাইন, মোঃ নুরুদ্দিন, মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ, আজমুল হক আসাদুজ্জামান বুলবুল, আৰু বকর সিদ্দিক, সেলিম মোল্লা, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান এবং সকল জেলা, মহানগর, থানা পর্যায়ের দায়িত্বশীলসহ নেতা ও কর্মীগন ।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও