Somoy News BD

১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , শুক্রবার
ব্রেকিং নিউজ

কোটা বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মত সড়ক অবরোধ করলো কুবি শিক্ষার্থীরা

কুবি প্রতিনিধি:

২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে দেওয়া প্রজ্ঞাপন হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণার প্রতিবাদে ও প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই অবরোধের ফলে সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে তিনটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এসে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের আজকের আন্দোলনের একাত্মতা পোষণ করে অংশ নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ, জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সাদা কাপড় গায়ে জড়িয়ে  গাছে ঝুলে থাকার ভঙ্গি করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তার গাঁয়ের সাদা কাপড়ে ‘মেধা থাকার পরও কোটা পদ্ধতি আমাকে বাঁচতে দেয়নি’, ‘ তোর ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে মা’
লেখা রয়েছে। এসব উপস্থিত আন্দোলনকারীরা
‘লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই, আমার সোনার বাংলায়, বৈষ্যমের ঠাই নাই, লেগে ছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ কাউসার বলেন, ‘আমরা সকল জায়গা থেকে অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতির বাতিল চাই। যতক্ষন পর্যন্ত কোটা পদ্ধতি বাতিল হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল মালেক আকাশ বলেন, ‘কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আমরা ত্রিরিয় দিনের মত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছি।  বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। এটাই আমাদের একমাত্র দাবি। বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধাবীদের মুক্তি দেন। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

এই বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলন সমন্বয়কদের অন্যতম মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, “সারা বাংলাদেশের সাথে সমন্বয় করে আজ তৃতীয় দিনের মতো আমাদের কুমিল্লার কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল ও কোটাপদ্ধতি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’

<span;>উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ ও ৭ জুলাই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক যথাক্রমে তিন ঘন্টা ও চার ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

Related Articles

ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পূর্ণবাসনের দাবি

মঞ্জুর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের পূর্ণবাসনের দাবি জানিয়েছে ‘ভুক্তভোগী সৌদিপ্রবাসীরা’। বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এই দাবি জানানো

আরও পড়ুন

বায়তুল মুকাররম মসজিদে নতুন খতিব নিযুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশবরেণ্য ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞ ও হাদিস বিশারদ আল্লামা মুফতি আবদুল মালেক (হাফি.) কে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব নিযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল সরকারের

আরও পড়ুন

প্রজেক্ট টুমরো এর জুলাই প্রোটেস্ট এ্যাপসের উদ্বোধন

মঞ্জুর: প্রজেক্ট টুমরো সফটওয়্যার লিঃ গতকাল মঙ্গলবার ১৬ অক্টোবর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২য় তলায় প্রজেক্ট টুমরো এর জুলাই প্রোটেস্ট এ্যাপসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে

আরও পড়ুন

টঙ্গীতে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যায্য মূল্যে TCB পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ (বুধবার) গাজীপুরের টঙ্গীতে জাবের এন্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স প্রাঙ্গণে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য সরকার কর্তৃক ন্যায্য মূল্যে TCB পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও