ভুক্তভোগী মোঃ মান্নান মিয়া গতকাল ২৫শে আগষ্ট, ২০২৪ ঢাকা ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ কেরন, মোঃ মান্নান মিয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের মালিকানাধীন গুলিস্থান শপিং কমপ্লেক্স-২, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ঢাকার অধীনে অফিস ১০ তলার স্পেস নং ৯/২১-২৫ এর ১৫১৫ বর্গফুট আয়তনের পজেশনে মোট ২১,১৩,০০০/- (একুশ লক্ষ তের হাজার) টাকা সালামী প্রদর্শন পূর্বক ক্রয় করি । উক্ত দোকানটি ক্রয় করার পর দোকান সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করে দেখতে পাই যে, মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের নামে বরাদ্ধকৃত ০.৬১৪ একর জমির উপর ২০ তলা ভবন নির্মান করার জন্য গত ইং ২৮/০৩/২০০১ ইং তারিখ ডিড নং ৮৮৯ মূলে মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্ট ও দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স এর চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তিপত্রের ৩৭ নং আর্টিকেলে ভবন নির্মান সহ ভবন নির্মানের পর অফিস, দোকান বিক্রি সহ হস্তান্তর এর সমস্ত দায় দায়িত্ব “দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স” কে দেয়া হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্ট কে প্রতিমাসে সালামী হিসাবে ১,৮৪,০৯,৮০০/- টাকা প্রদান করার কথা উল্লেখ করা হয়। ভবনটির নির্মান আয়তন প্রায় ৩.৮৮,৮০৩ স্কয়ার বর্গফুট । বিশাল আকারের ভবনটি নির্মানের জন্য কোন প্রকার ডাউন পেমেন্ট ছাড়া ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ফেরত প্রদান সাপেক্ষে চুক্তি সম্পাদিত হয়। যাহা আটিকেল ৬৬ এ ধারায় উল্লেখ আছে । সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনা উক্ত মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের সভাপতি এবং আ.খ.ম মোজাম্মেল হক, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, শাহজাহান খান (মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান), খন্দকার ফজলুল হক, মহা ব্যবস্থাপক শিল্প ও বানিজ্য বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্ট, এস.এম মাহবুব রহমান (৫৫), পিতা: হবি সিকদার, এম.ডি, মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্ট, মোবাইল: ০১৬৮১২৫০০১৯, মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম (৩০), পিতা: মোঃ মুনসুর আলী, প্রশাসক, মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্ট, এ.এস.এম আলাউদ্দিন, দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিঃ লিঃ, সাইফুল ইসলাম অপু, পিতা: আবদুল হেকিম, মাতা: মিনারা বেগম, ৪২ হামিদ সেন্টার কাজী নজরুল ইসলাম এভিঃ তেজগাঁও, ঢাকা গণরা মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের যাবতীয় বিষয়াদি/সম্পদ রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকাকালীন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়মের মাধ্যমে উক্ত বিবাদীগণ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পদ নষ্ট করার লক্ষ্যে উক্ত জমিতে ২০ তলা ভবন নির্মান সহ ব্যাপক দূর্নীতির মাধ্যমে ভবনের নির্মিতব্য দোকান/অফিস কম মূল্যে বিক্রয় করার জন্য “দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স” এর মালিক বিবাদী এ.এস.এম আলাউদ্দিন, পিতা: মৃত মহিউদ্দিন ভুইয়া এর সহিত চুক্তিবদ্ধে আবদ্ধ হয়। যাহাতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের ৫০% হারে শেয়ার হলেও ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিবাদী ১। শেখ হাসিনার নির্দেশে বিবাদী ২। আখম মোজাম্মেল হক, ৩। শাহজাহান খান, ৪ । খন্দকার ফজলুল হক, ৫। এ.এস.এম আলাউদ্দিন, ৬। সাইফুল ইসলাম অপু গণরা পরস্পর যোগসাজস করিয়া ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে “মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের” সম্পত্তিতে উক্ত ভবন নির্মান করা সহ ভবনে নির্মানকৃত দোকান/অফিস বিক্রয় করার জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে ডিড করে প্রায় ৩০০/- কোটি টাকার ক্ষতি করে এবং পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত টাকা তার বোন শেখ রেহানা ও পুত্র সাবেক ICT উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ও ডিবি হারুনের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন এবং সাইফুল ইসলাম অপু ও ডিবি হারুনের মাধ্যমে গুলিস্থান শপিং কমপ্লেক্সে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। পরবর্তীতে সকল বিবাদীগণ বিবাদী এ.এস.এম আলাউদ্দিন এর সহায়তায় ডিডে উল্লেখিত মূল্যের অধিক মূল্যে দোকান পাট/অফিস বিক্রয় করিয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সহিত প্রতারনা করে প্রায় ১০০০ (এক হাজার কোটি) টাকা আত্মসাৎ করিয়াছে। সকল আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের সদস্যদের বঞ্চিত করিয়া প্রায় ১০০০ (এক হাজার কোটি) টাকা আত্মসাৎ করিয়া ফৌজদারী অপরাধ করিয়াছে। উপরোক্ত বিষয় তদন্তপূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবদেন জানান । সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, এ্যাড. মোঃ আফানুর রহমান, মোঃ সাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
সাভার প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি নাজমুল,সম্পাদক জিয়া
মোঃ আল-শাহরিয়ার বাবুল খান:বহুল আলোচিত ও সমালোচিত,কাঙ্খিত ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে দীর্ঘ ৭বছর পর অনুষ্ঠিত হলো সাভার প্রেসক্লাবের (২০২৫ইং) এক চমকপ্রদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত