মঞ্জুর:
নারায়ণগঞ্জ থেকে শামীম ওসমান পালিয়ে গেলেও তার দোসরদের বিরুদ্ধে বিএনপির নিবেদিত নেতাকর্মীদের লড়াই করতে হচ্ছে। এ চক্রটি বিভিন্ন ভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘায়েল করার জন্য মিথ্যা প্রচারনা, কাল্পনিক অভিযোগ সামনে এনে বিশৃংঙ্খলা তৈরী করছে। ফ্যাসিবাদের এই দোসরদের চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে এখনই নেতাকর্মীর স্বোচ্চার হতে হবে ।
রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়নগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী । তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মানববন্ধন ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত অভিযোগে বিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, সমগ্র দেশব্যাপী আওয়ামী দোসরদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপির সর্বোচ্চ নিতি নির্ধারণী মহল থেকে শুরু করে তৃণমূল নেত্রীবৃন্দ পর্যন্ত উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের স্বীকার হচ্ছে। তদ্রুপ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতেও আওয়ামী দোষরদের একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে আমি সহ আমার দলীয় নেত্রীবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
আমরা এই ধরনের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে আমরা দলীয়ভাবে আলোচনা সাপেক্ষে এই ধরণের কু-চক্রী মহলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
তিনি বলেন, আমি ফতুল্লার চৌধুরী বাড়ীর সন্তান।ফতুল্লা মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বহু সরকারী ও বেসরকারী সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের ভূমির দাতা আমার পূর্ব পুরুষগণ।আমার বাবা ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও মা ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা।আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন বিএনপির নিবেদিত কর্মী।
গত ২৬ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রইসউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। মানবন্ধনে আমাকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ভূমিদস্যু, দখলবাজ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যাহার নির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমানাদি উল্লেখ নেই। কথিত রইস উদ্দিনকে দিয়ে আওয়ামীলীগের দোসরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।
রিয়াদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশে কোন দলীয় সরকার নেই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে কোন সত্যতা থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে কোন না কোন লিখিত অভিযোগ জমা থাকতো এবং আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে বিগত দিনে এই ধরণের কোন অভিযোগ আইনশৃঙ্খল বাহিনীর কাছে নেই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কিঞ্চিত সত্যতা থাকলে যৌথবাহিনী কিংবা গোয়েন্দা সংস্থা অবশ্যই অবগত থাকতেন এবং আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, সহ সভাপতি হানিফ কবির, সুমন আকবর, যুগ্ম সম্পাদক আনিস রহমান,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী,সহ-প্রচার সম্পাদক কামাল আহম্মেদ, মিলন টালি,এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির চৌধুরী, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আ: খালেক টিপু, সদস্য সচিব সালাউদ্দিন রানা,নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমান, শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী,সদস্য সচিব আল আমিন,তাতীদলের সভাপতি ইউনুস মাস্টার,সাধারণ সম্পাদক ইমন,নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আল আমিন,রূপম,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আল আমিন।