Somoy News BD

২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , মঙ্গলবার
ব্রেকিং নিউজ

সকল কর্মকাণ্ডের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে -ধর্ম উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন,
পৃথিবীর সকল কর্মকাণ্ডের জন্য আল্লাহর  কাছে জবাবদিহি করতে হবে। বিন্দু পরিমাণ ভালো কাজ করলে তার সুফল যেমন পাওয়া যাবে তেমনি বিন্দু পরিমাণ খারাপ কাজ করলেও তার প্রতিফল ভোগ করতে হবে।

আজ দুপুরে সচিবালয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে  পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এই পৃথিবীতে দুদক, গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে বাঁচতে পারলেও পরকালে নিষ্কৃতি পাবার উপায় নেই। তিনি আরো বলেন, এদেশে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপধারণ করেছে। টেবিলে টেবিলে ঘুষ না দিলে ফাইল নড়ে না। লালফিতার দৌরাত্ম্য একটি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতামূলক দেশ গঠনে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। ক্ষমতার একটু স্বাদ পেলেই লুটপাট করা, বিদেশে অর্থ পাচার করা  ও বিদেশে বাড়ি করার মতো মানসিকতা আমাদেরকে পেয়ে বসেছে। এই সংস্কৃতি থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই।

ধর্মকে ব্যবহার করে দূর্নীতি করাকে প্রহসন হিসেবে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা লম্বা দাড়ি রাখি, আবার ঘুষ খাই এবং  ঘুষের টাকায় হজ-উমরাহ পালন করে থাকি। এই সংস্কৃতি আমাদেরকে পরিহার করতে হবে।

হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ পথে উপার্জনের টাকায় হজ-উমরাহ পালন করা হলে সেটা আল্লাহ কবুল করবেন না। এমনকি
<span;>অবৈধ আয়ে গঠিত শরীরও বেহেশতে প্রবেশ করবে না। তিনি সকলকে হালাল পথে উপার্জনের অনুরোধ জানান।

ড. খালিদ বলেন, মহানবী (সা.) দুনিয়াতে এসে একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর আগমনের পূর্বে মানুষের অধিকার বলতে কিছু ছিলো না। মহানবী (সা.) প্রথম ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার বিশেষ কোন মর্যাদা নেই; পৃথিবীর সব মানুষ সমান।

ড. খালিদ আরো বলেন, আমরা যে রাষ্ট্রীয় কাজ করছি এটাও ইবাদত। ঘুষ নিলে ও দুর্নীতি করলে সেই ইবাদত থেকে বঞ্চিত হতে হয়। তিনি মহানবী(সা.) আদর্শকে লালন করার পাশাপাশি অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।

হাদীস উদ্ধৃত করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মুসলিম রাষ্ট্রে যদি কোন মুসলমান কোন অমুসলিম নাগরিকের ওপর অত্যাচার কিংবা জুলুম করে তবে কিয়ামতের দিন মহানবী (সা.) সেই মুসলিমের বিপক্ষে দাঁড়াবেন। এজন্য আমরা যদি সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যপূর্ণ একটি দেশ গড়তে চাই তাহলে নবী (সা.) এর আদর্শ মেনে চলা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নয়েব আলী মন্ডল, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলাম, উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেষে মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

Related Articles

লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার তিনি এই লাইসেন্স অনুমোদন করেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)

আরও পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে রাজনৈতিক

আরও পড়ুন

বিজিবির জনকল্যাণমুখী উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও শিক্ষার্থীদেরকে আর্থিক অনুদান, শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান এবং সেলাই মেশিন বিতরণ* দেশের সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি পার্বত্য

আরও পড়ুন

দূষণরোধী অভিযানে ২৪ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা জরিমানা, ৬৭০ টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ এবং ১ লক্ষ ৮৭ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে ব্যাপক দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। ০২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল ২০২৫

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman