Somoy News BD

১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , মঙ্গলবার
ব্রেকিং নিউজ

প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে সম্মেলন

মঞ্জুর: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ জামান ফিরোজ ও তার সক্রিয় সন্ত্রাসী গ্যাং এর অসহনীয় হয়রানী-নির্যাতন, বাড়ী দখল, চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার ১৮ নভেম্বর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মোঃ পারভেজ আহমেদ। তিনি বলেন, সৎ মাতার চক্রান্তে এডিশনাল এসপি মাহফুজ জামান ফিরোজ এর হুকুমে ০১/০৭/২০২৪ইং তারিখে ভোর ৫.৩০ মিনিটে ১৪/১৫জন সাদা পোশাকধারী লোক কোন ওয়ারেন্ট, অভিযোগ বিহীন আমার বাসার দারোয়ানকে মারধর করে বাড়িতে প্রবেশ করে আমাদেরকে তুলে নিয়ে যেতে আসে। আমার সৎ মা মাঝে মধ্যে আমাদের বাড়ীর মূল্যবান জিনিসপত্র জোর করে নিয়ে যায়, বাধা দিলে তিনি আমাদের সবার প্রাণনাসের হুমকি দেয় এবং নোংরা ভাষায় সবাইকে গালাগাজ করে। যা পরবর্তীতে আমার বাবা বাড্ডা থানায় একটি জিডিও করেন, যার নং-২০১৩, তারিখ: ২৮/১১/২০২২। আমার সৎ মায়ের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পপর্যায়ে বাবা ২য় মাতাকে গত ০৩/১২/২০২২ইং তারিখে ডিভোর্স দেয়। মানসিক অশান্তিতে অসুস্থ হয়ে বাবা গত ২২ অক্টোবর ২০২৩ সালে মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় আমাদের উপর ২য় মাতার বিভিন্ন অন্যায় ও অত্যাচার, তার গ্রামের পুলিশ অফিসার এডিশনাল এসপি, মাহফুজ জামান
জামান ফিরোজ এর হুকুমে ০১/০৭/২০২৪ইং তারিখে ভোর ৫.৩০ মিনিটে ১৪/১৫জন সাদা পোশাকধারী লোক কোন ওয়ারেন্ট, অভিযোগ বিহীন আমার বাসার দারোয়ানকে মারধর করে বাড়িতে প্রবেশ করে আমাদেরকে তুলে নিয়ে যেতে আসে। আমার সৎ মা মাঝে মধ্যে আমাদের বাড়ীর মূল্যবান জিনিসপত্র জোর করে নিয়ে যায়, বাধা দিলে তিনি আমাদের সবার প্রাণনাসের হুমকি দেয় এবং নোংরা ভাষায় সবাইকে গালাগাজ করে। যা পরবর্তীতে আমার বাবা বাড্ডা থানায় একটি জিডিও করেন, যার নং-২০১৩, তারিখ: ২৮/১১/২০২২। আমার সৎ মায়ের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পপর্যায়ে বাবা ২য় মাতাকে গত ০৩/১২/২০২২ইং তারিখে ডিভোর্স দেয়। মানসিক অশান্তিতে অসুস্থ হয়ে বাবা গত ২২ অক্টোবর ২০২৩ সালে মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় আমাদের উপর ২য় মাতার বিভিন্ন অন্যায় ও অত্যাচার, তার গ্রামের পুলিশ অফিসার এডিশনাল এসপি, মাহফুজ জামান ফিরোজ মাঝে মধ্যেই কিশোর গ্যাং দিয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন রকম হত্যার হুমকি প্রদর্শন করতো। বিগত ২৬/১১/২০২৩ তারিখে বাড্ডা থানায় আমাদের নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরের দিন পুলিশ আমাদেরকে বাড্ডা থানায় ধরে নিয়ে যায়। আমার ছোট ভাইকে ১২/০২/২০২৪ তারিখে ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে যায়। আমার নিকট ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে, নয়তো সারা জীবনে জেলে পচতে হবে। পরে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে বাকী টাকা ৩-৪ দিন পরে দিবো বলে সেখান থেকে ছুটে আসি। ১৪/০৩/২০২৪ তারিখে এসপি ও আমার সৎ মা টেলিফোনে আমাদেরকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, আমি ঐ দিনেই বাড্ডা থানায় জিডি করি, যার নং-১০২৫। বিগত ০১/০৪৭/২০২৪ইং তারিখে বাড্ডা থানায় পুলিশ ও তাহার পালিত সন্ত্রাসীরা আমার বাসা জোরপূর্বক দখল করতে আসে। আমাকে জামাত শিবিরের লোক বলে গালাগাজ করে। এলাকাবাসীর সহায়তায় আমার পরিবার মুক্তি পায়। ২৪/০৬/২০২৪ইং তারিখে আমার সৎ মাতা আমাদের বাসার সিসি ক্যামেরা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। আমি ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ বাসায় এসে বিষয়টি জেনে আমাকে এখনই থানায় অভিযোগ দিতে বলেন, এডিশনাল এসপির নির্দেশে থানা পুলিশ আমার অভিযোগটি গ্রহণ করে নাই। উল্টা গত ২৬/০৬/২০২৪ইং তারিখে আমাদেরকে আসামী করে বাড্ডা থানায় একটি মিথ্যা মামলা রুজু করে, যার নং-জিআর-৩২১/২৪। পুলিশই তদন্তে মামলার বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হলে ১৫/১০/২০২৪ইং তারিখে ঘটনা সত্যতা নয় মর্মে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন, চুড়ান্ত রিপোর্ট নং-৭২। পরবর্তীতে আমার সৎ মাতা আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের স্বাক্ষর জাল করিয়া ২০ লক্ষ টাকার একটি চুক্তিপত্র তৈরী করে। আমাদের ২ ভাইকে আসামী করে নরসিংদী শিবপুর সি.আর আমলী আদালত কোর্টে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে, যার নং-৮৩৮/২৪। পরবর্তীতে ২৭/০৯/২০২৪ইং তারিখে আবারও এসে হুমকি-ধামকি দিয়ে আমাদের নিকট ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বলে যদি টাকা না দেন তা হলে খুব খারাপভাবেই আসবো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামাত-শিবিরের তকমা দিয়েছে এবং এখন আমাদেরকে আওয়ামী লীগের লোকজন বলে জেলে পাঠানোর হুমদি দিচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আমাকে বিভিন্ন মামলায় জড়ায় ও তাদের ক্যাডার দিয়ে আমাদের বাড়ি-ঘর দখল করতে আসে। আরও হুমকি দেয় যে, কোর্ট তার, পুলিশ তার, উকিল তার, তার এক ফোনে মামলা হয় আর এক ফোনে মামলা খারিজ হয়। আমি গত ২৮/১০/২০২৪ইং তারিখে আমার সম্পদ রক্ষার্থে বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ঢাকায় একটি দেওয়ানী মোকাদ্দমা দায়ের করি, যার নং-৮৪১/২৪। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে আমাদের পরিবারকে হয়রানী ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয় এবং সুষ্ঠ বিচার, জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

Related Articles

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার আয়োজনে হাটু প্রতিস্থাপন সার্জারি বিষয়ক রোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা আজ একটি পেশেন্ট ফোরামের আয়োজন করে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল হাঁটুর ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং এর

আরও পড়ুন

নিষিদ্ধ পলিথিন বিরোধী অভিযানে ২৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ৪৬,২৬২ কেজি পলিথিন জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা মোতাবেক গত ০৩ নভেম্বর ২০২৪ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতের

আরও পড়ুন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক, ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশি কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত

আরও পড়ুন

নড়াইল ডিবি কর্তৃক ৩৫(পঁয়ত্রিশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার -২

মোঃ শরিফুল মোল্লা নড়াইল, জেলা প্রতিনিধিঃ মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত মোঃ শফিকুল ইসলাম(২৬) ও মোঃ এনামুল শেখ(১৯) নামের ০২ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও