মঞ্জুর:
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিষ্টিস ৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবার শহিদ ডাক্তার শামসুল আলম খান বি এম এ ভবন এর সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম আহাবয়ক ফাতেমা খান মজলিস, ফয়সাল আজীম, আসিফ মাহমুদ, শফিকুর রহমান, সোহেল আহম্মেদ প্রমুখ। বক্তারা সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবি ও প্রস্তবনা তুলে ধরেন। বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল বা বিএমডিসি শুধুমাত্র চিকিৎসক ও দন্ত চিকিৎসকগণ কে নিবন্ধন ও স্বীকৃতি দিয়ে থাকে এরকম আরও কয়েকটি কাউন্সিল আছে যেমন নার্সিং কাউন্সিল, ফার্মেসি কাউন্সিল ইত্যাদি, তাদের কাজ নার্স ও ফার্মাসিস্টগণকে নিবন্ধন ও স্বীকৃতি দেয়া।বায়োকেমিস্টগণ চিকিৎসক নন তারা সাইন্টিস্ট, সুতরাং তারা বিএমডিসির নিবন্ধনের আওতায় পড়ে না কিন্ত দুঃখ জনক হলোবায়োকেমিস্ট বা ল্যাবরেটরি সাইন্টিস্টগণের জন্য বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত নিবন্ধনের আলাদা কোন কাউন্সিল নেই যা বিশ্বের
অন্যান্য দেশে আছে।৭ দফা দাবি ও প্রস্তাবনাঃ ১।স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন হতে বিতর্কিত ও বৈষম্যমূলক ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারা বাদ দিতে হবে এবং নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে। ২।দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের স্বার্থে যুগোপযোগী স্বাস্থ্য নীতি প্রনয়নের মাধ্যমে বায়োকেমিস্টদের কর্ম পরিধি ও পেশাগত সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ৩।পর্যায়ক্রমে সকল ল্যাবরেটরিকে এক্রিডিটেশনের আওতায় আনতে হবে। ৪।সরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালসমূহ ও সকলজেলা সদর হাসপাতালগুলোতে শিক্ষক ওবায়োকেমিষ্ট/ল্যাবরেটরী সায়েন্টিস্ট হিসেবে পূনঃনিয়োগচালু করতে হবে । ৫। বিশেষায়িত
হাসপাতালসমুহ ও সকল জেলা সদর হাসপাতাল গুলোতে বায়োকেমিষ্ট/ল্যাবরেটরী সায়েন্টিস্ট পদ সৃষ্টি করতে হবে। ৬। স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারনী যে কোন পর্যায়ে গঠিত কমিটিতে বিএসিবির নুন্যতম একজন প্রতিনিধি অন্তভূক্ত করতে হবে। ৭। সুনির্দিষ্ট অর্গানোগ্রাম এর মাধ্যমে বিভিন্ন পদের পদোন্নতির পথ খোলা রাখতে হবে । তাদের দাবিসমুহ স্মারকলিপি আকারে স্বাস্থ্য উপদেস্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি, স্বাস্থ্য সচিব (শিক্ষা), স্বাস্থ্য সচিব(সেবা) এবং স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সভাপতি মহোদয়ের সাথে দেখা করে জমা দিয়েছি। জনমত গঠনের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা, সেমিনার করেচ্ছি এবং সংবাদ পত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করেছি। বেসরকারি চ্যানেলে স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। আমরা প্রয়োজনে পরবর্তীতে ধাপে ধাপে দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করব। তবে আমরা সমাজের শিক্ষিত শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করি। সেজন্য অন্যদের মত ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী আমরা গ্রহন করব না। সেজন্য আমরা আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে আপনাদের মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসী ও সরকারের কাছে আমাদের ন্যায্য দাবি তুলে ধরছি। ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে সবক্ষেত্রে একটা গুণগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্যান্য সেক্টরের মতো স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য একটি স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন। বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশে রোগিদের যাওয়া কমে এসেছে। দেশে রোগ নির্ণয়ের উপর রোগিদের আস্থা যখন ফিরে আসছে তখন বায়োকেমিস্টদের বাদ দিয়ে আইন করে বিতর্কিত ধারা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে সংযোজন করলে তা কখনো সুফল বয়ে আনবে না। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত। এতদিন ধরে এই সেক্টরে যে অগ্রগতি হয়েছিল তা আবার পিছিয়ে পড়বে।