Somoy News BD

১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

টেকনাফের কুখ্যাত অপহরণকারী দলের মূলহোতা আবু তালেবকে গ্রামবাসীর সহায়তায় আটক ধরে থানায় সোপর্দ করলো বিজিবি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার টেকনাফের কুখ্যাত অপহরণকারীদলের মূলহোতা আবু তালেবকে গ্রামবাসীর সহায়তায় আটক করে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি।

গত১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ আনুমানিক সকাল ১১.০০ ঘটিকায়
বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দহল দল দায়িত্বপূর্ণ নয়াপাড়া এলাকায় দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত অপহরণকারী দলের মূল হোতা আবু তালেবকে আটক করে। পরবর্তীতে দুপুর ১২ টার দিকে তাকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

জানা যায়, নয়াপাড়া গ্রামের মৃত ফজল হকের ছেলে এবং কুখ্যাত অপহরণকারী দলের মূলহোতা মোঃ আবু তালেব (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তার চক্রান্তের জাল বিস্তার করে নানা ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আবু তালেব গত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ আনুমানিক বিকেল ০৪.০০ ঘটিকায় মিথ্যা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ০৫ জন স্থানীয় নিরীহ লোককে তাদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টেকনাফের পল্লানপাড়া পাহাড়ি এলাকায় তার সহযোগীদের হাতে তুলে দেয়। এ সময় তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সকাল ১১০০ ঘটিকায়
উক্ত ঘটনাস্থল থেকে মোঃ জাবের (২৮) নামের অপহৃত এক ব্যক্তি  অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। জাবের আলী জানান, বাড়ি থেকে বের করে আবু তালেব ও তার সহযোগীরা তাদেরকে নির্মম নির্যাতনের মুখে ফেলে মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে অপহৃত ভুক্তভোগীদের পরিবার টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপিতে এসে অভিযোগ জানালে, বিওপি কমান্ডারের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। আনুমানিক দুপুর ১২৩০ ঘটিকায় বিজিবি টহলদল স্থানীয় জনগণের সহায়তায় অপহরণকারী তালেবকে  আটক করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করে।

অপহৃত ব্যক্তিদের নাম ও ঠিকানা নিম্নে প্রদান করা হলো:
ক। মোঃ জাবের (২৮), পিতা-মোঃ মনির আহমেদ।
খ। মোঃ রায়হান মনু (২০), পিতা-মোঃ মাহমুদ হোসেন ।
গ। মোঃ রায়হান (১৮), পিতা-মোঃ সেলিম।
ঘ। মোঃ জাকারিয়া (১৮), পিতা-মোঃ জমির আহমেদ। গ্রাম-নয়াপাড়া, পোস্ট-সাবরাং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।

এ ঘটনায় অপহৃত ব্যক্তিদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে টেকনাফ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিজিবি’র সুচিন্তিত কৌশল এবং জনগণের সহযোগিতায় সাবরাং বিওপি কর্তৃক দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় এলাকাবাসী অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সর্বশেষ জানা যায়, অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে আভিযানিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Related Articles

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দল কর্তৃক ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পরিদর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পরিদর্শন করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮

আরও পড়ুন

আল কুরআন বিরোধী সংবিধান প্রতিষ্ঠিত থাকায় মানুষ দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে – আমীর, ইসলামী সমাজ

মঞ্জুরঃ আজ,মঙ্গলবার, সকাল ১১ টায়, ইসলামী সমাজের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল  মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমূখে শান্তিপূর্ণ গণ মিছিল কর্মসূচি পালন করা

আরও পড়ুন

সোনাদিয়ার ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ: রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করবে বন বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা, ১৭ মার্চ ২০২৫: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে

আরও পড়ুন

বাজারে পাটব্যাগ সহজলভ্য করতে উদ্যোগী সরকারঃ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা,সোমবার, ১৭মার্চ,২০২৫: বস্ত্র ও পাট এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন,’ পাট ব্যাগকে সহজলভ্য ও কম মূল্যে বাজারে আনতে চাই। এর সুবিধা

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও