মঞ্জুর:
২৯শে জুন ২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলের ২য় তলায় নতুন বাংলাদেশ গঠনে বিআরপি’র অঙ্গীকার ৩৬ জুলাই উপলক্ষ্যে বিশেষ ঘোষনা সংবাদ সম্মেলন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াতুল্লাহ হাছানাত বেহেস্তি,যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নাঈম আল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ আয়াজ আহম্মেদ সিদ্দিক, সাজ্জাত হোসাইন,হাসনাত আব্দুল্লাহ, নারী ও শিশু সম্পাদিকা আনিকা তাসনীম খান , সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা দক্ষিণ কেন্দ্রীয় কমিটির মেজর মোঃ রাকিবুল হাসান(অবঃ) প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,সাংগঠনিক সম্পাক আয়াতুল্লাহ হাছানাত বেহেস্তি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জুলাই অভ্যুত্থান একটিবীরত্বগাথা,যেখানে ছাত্রজনতা এবং সর্বস্তরের মানুষ সাম্য,ন্যায় এবং বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের জন্য রক্ত দিয়েছে।এই আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে “সবার উপরে দেশ”এই মূলমন্ত্র নিয়ে ২০ জুন ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি আত্মপ্রকাশ করে।আসন্ন জুলাই মাসকে আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধা, বেদনা ও প্রত্যাশার সাথে স্মরণ করছি সেই শহীদ ও আহতদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে সুবিচারভিত্তিক ও বৈষম্যহীনবাংলাদেশের স্বপ্ন এখনো বেঁচে রয়েছে।সেই প্রত্যাশাকে ধারণ করে বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি পুরো জুলাই মাস জুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।প্রধান কর্মসূচিসমূহ: ১। মশাল মিছিল। ২।সংস্কার, বিচার ও জুলাই সনদের দাবিতে গণ স্বাক্ষর। ৩। আহত এবং নিহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎকার।৪।জুলাইয়ের বীর সাংবাদিকদের সম্মাননা। ৫।জুলাইয়ের বীর ফ্যাকাল্টিদের সম্মাননা। ৬।ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদি স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা। ৭।জুলাই উপলক্ষে মেডিকেল ক্যাম্পেইন। ৮।জুলাই এর চিঠি অনুলিপি অ্যাম্বাসি/হাই কমিশনে পাঠানো। ৯। জুলাইয়ের স্মৃতিচারণ। ১০।বিচারের দাবিতে প্রতীকী কফিন মিছিল। ১১।জুলাইয়ের নারী যোদ্ধাদের আবদানে শীর্ষক আলোচনা কর্মসূচি। ১২।জুলাইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের সহায়তা করা। ১৩। রক্তাক্ত জুলাই ডকুমেন্টারি প্রদর্শন।১৪। দেওয়াল লিখন ও গ্রাফিতি অঙ্কন। ১৫।রাজনৈতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা। ১৬।আলেম ও উলামাদের নিয়ে জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠান। ১৭।প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই স্মৃতিচারণ। ১৮।জুলাই বিজয় র্যালী। দাবীসমূহঃ ১।দ্রুততম সময়ে জুলাই গনঅভ্যুত্থানে হত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রায় বাস্তবায়ন করতে হবে। ২।নিহত ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের সম্মানার্থে প্রতিটি সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্ত্বস্বাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘জুলাই স্মৃতি কর্ণার’ স্থাপনের মাধ্যমে অভ্যুত্থানের ডকুমেন্ট আর্কাইভ ও প্রদর্শন করতে হবে। ৩।জুলাইয়ের শহীদ, আহত ও যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মামনা ওখেতাব প্রদান করতে হবে। ৪।রাষ্ট্র সংস্কার ও জুলাই সনদ সম্পন্ন করে জাতীয় নির্বাচনপ্রদান করতে হবে।













