Somoy News BD

১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল, ‘অবৈধ’ বলছেন কুবির ৩ শিক্ষক

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতি থেকে তিন শিক্ষকের সদস্যপদ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে সদস্য পদ বাতিল হওয়া শিক্ষকরা বলছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’

সদস্য পদ বাতিল হওয়া তিনজন শিক্ষক হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার।

সোমবার (৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সাক্ষরিত পৃথক পৃথক তিনটি চিঠি থেকে এই বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চিঠিগুলোতে উল্লেখ করা হয়, গত ০৩ মে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগে তিন শিক্ষকের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে পাঁচ কার্যদিবসের মাঝে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলে সেটির জবাব দেন তিন শিক্ষকই। তবে সেটিকে ‘সন্তোষজনক নয় বলে বিবেচিত’ করে শিক্ষক সমিতি। সেই প্রেক্ষিতে গত ২৮ মে হতে তাদের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল করা হয়।

এই বিষয় লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘আমার সদস্যপদ কেন বাতিল হলো তা আমি জানি না। আমি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছি, কিন্তু সেটিকে অসন্তোষজনক উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করা সম্পূর্ণ অবৈধ, অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছি। পাশাপাশি এটি আমার চরিত্র হননের জন্য একটি পন্থা মনে হচ্ছে।’

অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার বলেন, ‘আমার কারণ দর্শানো অসন্তোষজনক এমন উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করাটা রাজনৈতিক মনে হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অযৌক্তিক।’

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করিনি বরং শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা তিন দপ্তরে তালা দিয়েছিলো সেটির বিরোধিতা করেছি। আমি মনে করি আমাদের সদস্যপদ বাতিল না করে যারা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার কাজ করেছে তাদের সদস্যপদ বাতিল করা উচিত। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’

শিক্ষক সমিতির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমরা তিনজন আলোচনা করছি। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবো।’

এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘সদস্যপদ বাতিলের ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের যথাযথ আইন মেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের সম্মতিক্রমেই উনাদের (তিন শিক্ষক) সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। তাই এটিকে অবৈধ এবং অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ নেই।’

Related Articles

ই ক্লাব ফ্যামিলি নাইট ২০২৫ – উদ্যোক্তা, বিনোদন ও পারিবারিক বন্ধনের এক  মহোৎসব

মঞ্জুর: মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর ২০২৫ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ই ক্লাব ফ্যামিলি নাইট ২০২৫ উদ্যোক্তা, বিনোদন ও পারিবারিক বন্ধনের এক মহোৎসব উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কামরুল হাসান প্রেসিডেন্ট অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব

আরও পড়ুন

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত

মো:আশরাফুল আলমঃজাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪তম সভা প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি জনাব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল

আরও পড়ুন

গত ০৭ (সাত) দিনব্যাপী নৌ পুলিশের চলমান বিভিন্ন অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ জাল, মাছ ও জেলীযুক্ত চিংড়ি উদ্ধারসহ আটক ৩১০ জন ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও নৌ পথে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নৌ পুলিশ দেশব্যাপী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। গত ০৭ (সাত) দিনব্যাপী নৌ পুলিশের বিভিন্ন

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক প্রস্থেটিক্স ও অর্থোটিক্স দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন

মঞ্জুর:ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর প্রস্থেটিক্স অ্যান্ড অর্থোটিক্স (আইএসপিও)-বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman