Somoy News BD

১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল, ‘অবৈধ’ বলছেন কুবির ৩ শিক্ষক

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতি থেকে তিন শিক্ষকের সদস্যপদ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে সদস্য পদ বাতিল হওয়া শিক্ষকরা বলছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’

সদস্য পদ বাতিল হওয়া তিনজন শিক্ষক হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার।

সোমবার (৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সাক্ষরিত পৃথক পৃথক তিনটি চিঠি থেকে এই বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চিঠিগুলোতে উল্লেখ করা হয়, গত ০৩ মে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগে তিন শিক্ষকের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে পাঁচ কার্যদিবসের মাঝে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলে সেটির জবাব দেন তিন শিক্ষকই। তবে সেটিকে ‘সন্তোষজনক নয় বলে বিবেচিত’ করে শিক্ষক সমিতি। সেই প্রেক্ষিতে গত ২৮ মে হতে তাদের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল করা হয়।

এই বিষয় লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘আমার সদস্যপদ কেন বাতিল হলো তা আমি জানি না। আমি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছি, কিন্তু সেটিকে অসন্তোষজনক উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করা সম্পূর্ণ অবৈধ, অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছি। পাশাপাশি এটি আমার চরিত্র হননের জন্য একটি পন্থা মনে হচ্ছে।’

অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার বলেন, ‘আমার কারণ দর্শানো অসন্তোষজনক এমন উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করাটা রাজনৈতিক মনে হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অযৌক্তিক।’

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করিনি বরং শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা তিন দপ্তরে তালা দিয়েছিলো সেটির বিরোধিতা করেছি। আমি মনে করি আমাদের সদস্যপদ বাতিল না করে যারা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার কাজ করেছে তাদের সদস্যপদ বাতিল করা উচিত। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’

শিক্ষক সমিতির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমরা তিনজন আলোচনা করছি। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবো।’

এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘সদস্যপদ বাতিলের ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের যথাযথ আইন মেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের সম্মতিক্রমেই উনাদের (তিন শিক্ষক) সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। তাই এটিকে অবৈধ এবং অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ নেই।’

Related Articles

মানিকগঞ্জের সানোয়ারের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

শাহ্ আলমঃ নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে  চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন মানিকগঞ্জ, সিংগাইরের ছানোয়ার হোসেন, ওরফে খান ছানা। কখনো নিজেকে

আরও পড়ুন

বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের Move To PSC কর্মসূচিসহ ২ দফা দাবি

মঞ্জুরঃ স্বাস্থ্য সেক্টরের অবৈধ অ্যাডহক নিয়োগ ও এন-ক্যাডারমেন্ট বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর পিএসসির সামনে কর্মসূচির মাধ্যমে তারা এ দাবি জানান।

আরও পড়ুন

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা : সেনাবাহিনী কী কী করতে পারবে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী

আরও পড়ুন

কুবি প্লাটুন পরিদর্শনে মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন রেজিমেন্ট কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কর্ণেল প্রিন্স

কুবি প্রতিনিধি: “আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্লাটুন পরিদর্শন করে ক্যাডেটদের সার্বিক কার্যক্রমে মুগ্ধ হলাম। আমি এই প্লাটুনের বিএনসিসিও, পিইউও এবং ক্যাডেটদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সবার উত্তরোত্তর

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও