Somoy News BD

৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

ইসলামী সমাজের তিন দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ  গণজাগরণ যাত্রা কর্মসূচি সু-সম্পন্ন

মঞ্জুর: ইসলামী সমাজের উদ্যোগে গত ১৯ মে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনে কুমিল্লা টাউন হল ময়দান থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গনজাগরণ যাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গত ২৮ মে কুমিল্লা টাউন হল ময়দান থেকে শুরু হয়ে ইসলামী সমাজের কেন্দ্র কুশিয়ারা বাজারে ও গতকাল ২৯ মে কুশিয়ারা বাজার থেকে শুরু হয়ে চিটাগাং রোড পর্যন্ত এবং আজ শেষের দিন ৩ মে সকাল ১০টায় চিটাগাং রোড থেকে গণজাগরণ যাত্রা শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়। গণজাগরণ যাত্রা চলাকালীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী

সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর এসময় তিনি বলেন, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলামের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক জাহিলি শাসন ব্যবস্থা সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত থাকায় দিন দিন মানবতা বিরোধী অপরাধ বেড়ে চলছে, যার কারণে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গজবের মাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থ সম্পদের মোহ এবং ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মানুষে মানুষে সংঘাত-সংঘর্ষ ও নৈরাজ্য মূলতঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আযাব -গজবেরই অংশ। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মূলোৎপাটন না হলে দেশে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিবে, দেশ ও জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, মানুষ যখন তাদের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকেই সার্বভৌমত্বের মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও শাসনকর্তা গ্রহণ করে বা মেনে নেয় তখন তারা মূলতঃ দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী হয়ে মানবতা বিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়। মানুষের সার্বভৌমত্ব ও মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে জীবন যাপন করলে জাতির মানুষ কখনো ঐক্যবদ্ধ থাকে না বরং দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে- একথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলামই মূলতঃ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তিতে জীবন-যাপন করার সু-ব্যবস্থা করে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে মানব রচিত জাহিলি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম সহিংসতা চলছে, যার কারণে বিশ্বের মানুষ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখী অবস্থান করছে। ইসলামী সমাজ’ ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চল-২ এর দায়িত্ত্বশীল জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর সঞ্চালনায় আজ ৩০ মে ২০২৪ইং (বৃহস্পতিবার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনে তিন দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি বলেন, দুনিয়ার জীবনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় থেকে বাঁচতে এবং আখিরাতের জীবনে জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেয়ে জান্নাত লাভ করতে হলে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ, সশস্ত্র লড়াই, সেনা ক্যু এবং গণআন্দোলন- এসবের কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়, এসবই ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে চরম বিভ্রান্তি ও ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতা। এসবের বিরুদ্ধে ইসলামী সমাজের দৃঢ় অবস্থান। সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতি হচ্ছে- মানুষের সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থা পরিত্যাগ করে ঈমান ও  ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত জাহিলি সমাজের বিপরীতে ঈমানদারগণের সমাজ গঠন আন্দোলন। ইসলামী সমাজ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে, সকল মানুষের সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হবে, সকলে শান্তিপূর্ণভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে পারবে, মানুষে মানুষে সংঘাত ও সংঘর্ষসহ মানবতা বিরোধী সকল অপরাধ বন্ধ হবে এবং তাদের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান। শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী সমাজ এর বিভাগীয় দায়িত্বশীলগণ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও কর্মীগণ। দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।

Related Articles

বায়ুদূষণ, পানিদূ্‌ষণ এবং শব্দদূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার ও গণমাধ্যমকে একসাথে কাজ করতে হবে। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও পানি দূষণ প্রতিরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায়

আরও পড়ুন

অনিয়মের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট

মঞ্জুর: কাকলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ খানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সেগুলোকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি

আরও পড়ুন

সেন্টমার্টিনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ এবং পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করা হবে। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সেন্টমার্টিনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা হবে। পাশাপাশি, পর্যটকের সংখ্যা সীমিত

আরও পড়ুন

বেদেনা ও তার ছেলের ত্রাসের রাজত্বের অবসানঃদুইটি পিস্তল উদ্ধার।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর পশ্চিম ধানমণ্ডি এলাকার মাদক ব্যাবসায়ী ও মহিলা সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত বেদেনা।তার দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ পুরো পরিবার সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও