Somoy News BD

১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির গুণাবলী লালন করে ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি সম্ভাবনা, প্রতিটি কাজের মধ্যে দিয়ে তাদেরকে জাগ্রত করতে হবে — উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, দেশের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মৌলিক ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, তাদের উন্নয়ন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে এ দেশের মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। তিনি বলেন, তাদের গুণাবলী লালন করে ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি সম্ভাবনা, প্রতিটি কাজের মধ্যে দিয়ে তাদেরকে জাগ্রত করতে হবে ।

তিনি আজ আগারগাঁও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গনে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডঃ মোঃ মহিউদ্দিন এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তৃতা করেন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসডিএসএল এর সদস্য মোঃ মামুনুর রশিদ ইফতি । অনুষ্ঠানে ঢাকা সরকারি বধির স্কুলের ১০ শ্রেণীর  ছাত্র শামীম, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী হিমু আক্তার উপযোগী কর্মমুখী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দাবি জানান এবং তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ও বিশেষ শিক্ষা কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষকমন্ডলী, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর দরিদ্রতা নিরসন ও জীবনমান উন্নয়নে নতুনভাবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে লক্ষ্যভিত্তিক পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। এখন পর্যন্ত এদেশে ৩৫  লক্ষাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে বাক-প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ১,৮১,৮৪৮ জন এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ১,১২,৬২৬ জন।

তিনি বলেন, বাচ্চাদের একটি সুন্দর ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের জন্য সারা দেশের ৭টি সরকারি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সামাজিকভাবে অবহেলিত প্রতিবন্ধী মেয়েদের পুনর্বাসন ও স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য বর্তমানে সরকারিভাবে দেশের ৬টি বিভাগে ৬টি সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র চালু রয়েছে। এ সকল কেন্দ্রের মাধ্যমে সামাজিকভাবে নিগৃহীত বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়েদেরকেও সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীর আওতায় আনা হচ্ছে। জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এদেশের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীসহ সকল ধরনের প্রতিবন্ধী জনগণের জন্য চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা কার্যক্রম, অনুদান প্রদান, কর্মসংস্থান সহায়ক উপকরণ বিতরণ, প্রশিক্ষণ, আবাসন সুবিধা, উন্নয়ন মেলা ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে করে এদেশের প্রতিবন্ধী জনগণ নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে নিজেদেরকে উৎপাদনশীল কাজে সম্পৃক্ত করে আত্মনির্ভরশীলতার মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন করছেন। প্রতিবন্ধী মানুষের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের জনগণ ও দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এছাড়াও বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সকল আর্থসামাজিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে। সকলের সম্মিলিত কর্ম প্রয়াসে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হবো এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ মহিউদ্দিন ৫২”র ভাষা আন্দোলনে শহীদ এবং জুলাই আগস্ট ২৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া হাজারো ছাত্র- জনতার বিদেহী আত্মার বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাংলা ইশারা ভাষা দিবস ২০২৫  উপলক্ষে এবারের  প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “এক ভুবন এক ভাষা, চাই সার্বজনীন ইশারা ভাষা ” প্রতিপাদ্যটি এদেশের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সমঅধিকার নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দানকারী তরুন ছাত্র-জনতার স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দেশের দুস্থ, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ ,দারিদ্র, এতিম প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাসহ অনগ্রসর মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। তিনি বলেন, বর্তমান জরিপ অনুসারে ৩৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭৫০ জন বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছে, যার মধ্যে বর্তমানে ৩২ লক্ষ ৩৪ হাজার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সরকারি ভাতা ও ১ লক্ষ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সম্মান ও উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে “সুবর্ণ নাগরিক ” আখ্যা দিয়ে সরকার কর্তৃক জরিপের মাধ্যমে এ দেশের প্রত্যেকটি প্রতিবন্ধী মানুষকে প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ কার্ড দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতা ধারায় সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

Related Articles

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দল কর্তৃক ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পরিদর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পরিদর্শন করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮

আরও পড়ুন

আল কুরআন বিরোধী সংবিধান প্রতিষ্ঠিত থাকায় মানুষ দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে – আমীর, ইসলামী সমাজ

মঞ্জুরঃ আজ,মঙ্গলবার, সকাল ১১ টায়, ইসলামী সমাজের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল  মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমূখে শান্তিপূর্ণ গণ মিছিল কর্মসূচি পালন করা

আরও পড়ুন

সোনাদিয়ার ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ: রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করবে বন বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা, ১৭ মার্চ ২০২৫: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে

আরও পড়ুন

বাজারে পাটব্যাগ সহজলভ্য করতে উদ্যোগী সরকারঃ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা,সোমবার, ১৭মার্চ,২০২৫: বস্ত্র ও পাট এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন,’ পাট ব্যাগকে সহজলভ্য ও কম মূল্যে বাজারে আনতে চাই। এর সুবিধা

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman

এই বিভাগের আরও