Somoy News BD

১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

সাংস্কৃতির অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব সানজিদা খাতুন এর মৃত্যুতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এর শোকবার্তা এবং দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশের সাংস্কৃতির অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব সানজীদা খাতুন এর প্রয়াণে আমরা শোকাহত। গত ২৫ মার্চ ২০২৫ (মঙ্গলবার ) সাংস্কৃতিক ও শিক্ষার দেশীয় ধারার এই সাধক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে উন্মেষ ও বিকাশ, সানজীদা খাতুন ছিলেন সেই স্রোতধারার সাহসী সৈনিক। রবীন্দ্র জন্মশত বার্ষিকী পালনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বাধাদান পরবর্তী সাংস্কৃতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে ‘ছায়ানট’ গঠিত হলো, সানজীদা খাতুন তার সাথে যুক্ত হলেন। আবৃত্তি, অভিনয়, গানচর্চার পাশাপাশি থেকে সাংস্কৃতিক সংগ্রামের সাথে তার সম্পৃক্ততা ও সক্রিয়তার শুরু। দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদদের অনেকেই যখন রাজনীতিতে সকলের অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছিলেন, সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সানজীদা খাতুন সংগীত চর্চাকেই মূখ্য বলে গণ্য করেছেন। ১৯৬৭ সালের পহেলা বৈশাখের প্রথম অনুষ্ঠান রবীন্দ্রনাথের এসো হে বৈশাখ ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ যখন দর্শকের কাছে উৎসবের আনন্দময় প্রকাশ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেল, গান ও সুরের প্রতি সানজীদা খাতুনের  পক্ষপাত, সেদিন থেকে সাংস্কৃতিক উদযাপনে নতুন মাত্রা যোগ করল। উল্লেখ্য যে, ছায়ানট শুরুতে পল্লীগীতি ও গণসংগীতকেও জনপ্রিয় করে তোলার তাগিদে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নজরুলের কবিতা ও গান সেই সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অভিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। ছায়ানটের একজন সংগঠক হিসেবে সানজীদা খাতুন এক পর্যায়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সঞ্জীবিত করবার পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনে মানবিক চেতনার বিকাশের কথা ভাবতে শুরু করেন ।  তাঁর উদ্যোগ যে বিদ্যায়তনের জন্ম হয়, তার পেছনে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা বিষয়ক চিন্তা যেমন অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, তেমনই জার্মান স্পিরিচুয়ালিস্ট রুডল্ফ স্টেইনারের শিশুশিক্ষা ও শিশুর বিকাশ সংক্রান্ত ভাবনা অনায়াসে যুক্ত হয়েছে। তার নাম আমাদের সংস্কৃতির একটি বিশেষ অধ্যায়ের সাথে সম্পর্কিত। একাত্তরের সাংস্কৃতিক প্রস্তুতি পর্বে এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে সংগীতের বিকাশ, এই দুই পর্বের তিনি মহীরুহ।
তাঁর মৃত্যুতে জাতির যে অপূরণীয় ক্ষতি, তার প্রেক্ষিতেই তাঁর অবদানের মূল্যায়নের শুরু হতে হবে। তিনি যেভাবে এদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন, আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করুন, এই দোয়া কামনা করেন।

Related Articles

ই ক্লাব ফ্যামিলি নাইট ২০২৫ – উদ্যোক্তা, বিনোদন ও পারিবারিক বন্ধনের এক  মহোৎসব

মঞ্জুর: মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর ২০২৫ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ই ক্লাব ফ্যামিলি নাইট ২০২৫ উদ্যোক্তা, বিনোদন ও পারিবারিক বন্ধনের এক মহোৎসব উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কামরুল হাসান প্রেসিডেন্ট অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব

আরও পড়ুন

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত

মো:আশরাফুল আলমঃজাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪তম সভা প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি জনাব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল

আরও পড়ুন

গত ০৭ (সাত) দিনব্যাপী নৌ পুলিশের চলমান বিভিন্ন অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ জাল, মাছ ও জেলীযুক্ত চিংড়ি উদ্ধারসহ আটক ৩১০ জন ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও নৌ পথে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নৌ পুলিশ দেশব্যাপী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। গত ০৭ (সাত) দিনব্যাপী নৌ পুলিশের বিভিন্ন

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক প্রস্থেটিক্স ও অর্থোটিক্স দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন

মঞ্জুর:ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর প্রস্থেটিক্স অ্যান্ড অর্থোটিক্স (আইএসপিও)-বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman