Somoy News BD

১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , বুধবার
ব্রেকিং নিউজ

ফ্যাসিবাদ মুক্ত সময়ে শুধাংসু কুমার সাহার সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি

মঞ্জুর:
শুধাংসু কুমার সাহা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (আই ডি নং ১০৯০৫০৪১) হিসেবে সেপ্টেম্বর ০৭, ২০০৫ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগদান করেন। তিনি সেই সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বগুড়ার ধনুট উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় তাঁর ওপর চলে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সময়ে দুঃশাসনের ব্যাপক খড়গ- বদলিজণিত, হয়রানী, বরখাস্ত ও কারণ দর্শানোর নোটিশ, বিভাগীয় মামলা, সাধারণ ডায়েরী ও হত্যা প্রচেষ্টার মতো অস্বাভাবিক ঘটনাবলী ঘটেছে। ভাবতে অবাক লাগে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কর্মরত একজন মেধাবী, সৎ ও নির্ভীক সরকারি কর্মকর্তাকে দীর্ঘ দুই দশকের হয়রানীর চলমান ধারা। যেখানে আজো সেইসব ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করার মতো হুমকি ধামকি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। বিগত জানুয়ারী ৬, ২০২৫ তারিখে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কুমিল্লায় যোগদান করে নিয়ম-নীতি মেনে অফিসে দায়িত্বপালনকালে বিগত মার্চ ১৩, ২০২৫ বৃহস্পতিবার বেলা আনুমানিক ২:০০ ঘটিকার সময় কুমিল্লায় নির্বাচন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশন কর্তৃক ঘোষিত স্ট্যান্ড ফর এনআইডি কর্মসূচীতে দায়িত্ব পালনের পর তাঁর অফিস কার্যালয়ে অজ্ঞাতনামা ৪ জন লোক যাদের মধ্যে ৩ জন অফিসের বাহিরে ও অন্যজন অফিস রুমে ঢুকে হত্যার হুমকি দেয়। এমনকি হুমকির এক পর্যায়ে শুধাংসুকে চাকরী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে বলে, যদি তিনি এ ধরণের হুমকি ও চাকরী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে অপারগ হন। তাহলে তাকে যেকোন সময় হত্যার পর লাশ গুম করার কথা বলে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি সাপ্তাহিক ছুটির শেষ দিন হওয়ায় কুমিল্লা কোতয়ালীর মডেল থানায় বিগত ১৭/০৩/২০২৫ সাধারণ ডায়েরী করেন (জিডি)। যাহার জিডি  নম্বর-১২৮০।
অতঃপর, শুধাংসু কুমার সাহাকে ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কোন কারণ ছাড়াই বিগত ২৪/০৩/২০২৫ সোমবার সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলী করা হয় এবং বিগত ২৫/০৩/২০২৫ তারিখে তাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে যোগদান করানো হয়।  একই সাথে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা কুমিল্লা কর্তৃক অবমুক্তকরণ এবং পরিশেষে সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ জারি করা হয়। যা ছিল শুধাংসু কুমার সাহার দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের চাকরী জীবনে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ঘটনা। কারণ তিনি আবারো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক বরখাস্ত নোটিশ পেয়ে বিগত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ের মতো ঘটনা ঘটলো। এতে আরো উদ্বেগের বিষয়, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ফ্যাসিবাদীদের ষড়যন্ত্রের দায়ে সর্বোচ্চ ১৬ বারের মতো বদলীজণিত হয়রানীর ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় বার সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ পেয়ে হতবাক হলেন। এদিকে তিনি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৭(২) মোতাবেক অভিযোগ হতে অব্যাহতি প্রদানের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আনীত অভিযোগের ব্যক্তিগত শুনানিতে হাজির হতে হাজির হন বিগত মে ১৪, ২০২৫।
২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেলে পঞ্চম সিলেকশন গ্রেডের কর্মকর্তা শুধাংসু কুমার সাহা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায় অদ্যাবধি তাঁর বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কোন ধরণের নেতিবাচক মন্তব্য নেই। তিনি তাঁর বৃদ্ধ মাসহ পাঁচ সদস্যের পরিবারের উপার্জনক্ষম সদস্য হওয়ায় তাঁর পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার ও তাঁকেই বহন করতে হচ্ছে। তিনি এখন দূর্মূল্যের বাজারে আর্থিক অনটনে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। যা কোনভাবেই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ মুক্ত অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে কাম্য ছিল না।
এদিকে এই পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি তাঁর সম্পর্কে সরেজমিনে অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে জানায়, বিগত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের সময় সচিব জনাব হেলালুদ্দিন আহম্মদ সময়ে তাঁর নামে অহেতুক বিভাগীয় মামলা রজু করার মাধ্যমে ব্যাপক হয়রানি করা হয়। অথচ পরবর্তীতে বিভাগীয় মামলার রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি একজন দেশপ্রেমিক সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে চাকরীবিধি মেনে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে কর্মরত ছিলেন ও আছেন তারই প্রমাণ বিগত জানুয়ারি ০৬, ২০২৫-এ কুমিল্লায় যোগদান ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে মার্চ ২৫, ২০২৫ যোগদান করেন।
শুধাংসু কুমার সাহার সংশ্লিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত মোঃ হেদায়েত উল্লাহর সাথে এই পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শুধাংসু স্যার কুমারী মেয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে কোন কথা বলেননি। তিনি এখানে দায়িত্ব পালনকালে সকলের সাথে তিনি ভালো ব্যবহার করেছেন। তিনি কুমিল্লায় প্রায় দুই মাস পনেরো দিন কর্মরত ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি কোন সাংবাদিককে ঘুষ দিয়েছেন এমন তথ্য আমার জানা নেই। আমি তার অধীনস্থ সরাসরি স্টাফও নই। তিনি যেহেতু অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (আমাদের অফিসের বড় স্যার) সেহেতু তাঁর সম্পর্কে আমরা কোন অভিযোগ করেনি। তবে আমাদের অফিসের উর্ধ্বতন স্যারেরা চাকরী হারানোর ভয় দেখাইয়া আমিসহ কয়েকজন অপারেটরকে ব্যবহার করিয়া তার সম্পর্কে অভিযোগ দাখিল করেছে। শুধাংসু স্যারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের কোন রেকর্ড কিংবা ভিডিও এবং কুমারী মেয়ে সংক্রান্ত কোন রেকর্ডও আমাদের কাছে নেই। শুধুমাত্র মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করেছি। শুধাংসু স্যারের বিরুদ্ধে এখানে গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

Related Articles

ই ক্লাব ফ্যামিলি নাইট ২০২৫ – উদ্যোক্তা, বিনোদন ও পারিবারিক বন্ধনের এক  মহোৎসব

মঞ্জুর: মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর ২০২৫ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ই ক্লাব ফ্যামিলি নাইট ২০২৫ উদ্যোক্তা, বিনোদন ও পারিবারিক বন্ধনের এক মহোৎসব উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কামরুল হাসান প্রেসিডেন্ট অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব

আরও পড়ুন

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত

মো:আশরাফুল আলমঃজাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪তম সভা প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি জনাব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল

আরও পড়ুন

গত ০৭ (সাত) দিনব্যাপী নৌ পুলিশের চলমান বিভিন্ন অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ জাল, মাছ ও জেলীযুক্ত চিংড়ি উদ্ধারসহ আটক ৩১০ জন ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও নৌ পথে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নৌ পুলিশ দেশব্যাপী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। গত ০৭ (সাত) দিনব্যাপী নৌ পুলিশের বিভিন্ন

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক প্রস্থেটিক্স ও অর্থোটিক্স দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন

মঞ্জুর:ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর প্রস্থেটিক্স অ্যান্ড অর্থোটিক্স (আইএসপিও)-বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬[] – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।[][] তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর    উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

sheikh mujibur rahman